গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না ও যাবে জানুন

আজকের এই অংশে আপনারা জানতে চলেছেনগর্ভাবস্থায় থাকা মায়েদের কি কি সবজি খাওয়া যাবে এবং
গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না
কি কি সবজি খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে বিস্তারিত এবং কি কি সবজি খেলে পুষ্টি এবং ক্যালরি পাবে তার বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলোঃ

গর্বাবতী মায়ের শরীরে প্রচুর পরিমান এ পুষ্টি প্রয়োজন আর পুষ্টি ও ক্যালসিয়াম মূলত সবজি থেকেই আসে।তাহলে চলুন নিচে দেখে নেয়া জাক সেই সব সবজি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।

ক্যাপসিকাম: ক্যাপসিকাম হলো ভিটামিন সি এটি আমাদের ভিটামিন-সি ও শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

পেপে: পেপে হলো লিভারের একটি বড় ওষুধ জা লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং পুষ্টি যোগাতে অনেক উপকারী। এবং গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পেপে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আলু: আলুতে থাকে প্রচুর পরিমান এ পুষ্টি জা আমাদের ভিটামিন যোগাতে সাহায্য করে।তা ছাড়া আলুতে থাকে অনেক ভ্যাট তাই গর্ভাবস্থায় আলু প্রয়োজন মত খাওয়া দরকার।

ফুলকপি:ফুলকপি আমাদের ভিটামিন ও পুষ্টির একটি বড় উপাদান। গর্ভাবস্থায় ফুলকপি সিদ্ধ করে খেলে ফুলকপি থেকে অনেক পুষ্টি গ্রহণ করা সম্ভব।

বরবটি: বরবটি হলো অনেক পুষ্টিকর সবজি গর্ভাবস্থায় আমাদের বরবটি খাওয়া প্রয়োজন কারণ বরবটি সিদ্ধ করে খেলে বরবটির ভিতরে ও বরবটির বিচি তে যে পুষ্টি থাকে সেটা গর্ভাবস্থায় আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

টমেটো: টমেটো ভিটামিন-সি যেটা আমাদের শরীরের ভিটামিন-সি এর ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। এবং কোন কোন পরিক্ষা নিরিক্ষায় দেখা গেছে একটি টমেটো তে দুইটি আপেল এর সমান পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।তাই অবশ্যই বুঝতে পারছেন গর্ভাবস্থায় আমাদের টমেটো খাওয়ার গুরুত্ব।তবে কোন কিছুই বেশি খাওয়া প্রয়োজন নেই তাই পরিমান মত ভেবে ভেবে গর্ভাবস্থায় খাওয়া উচিত আমাদের সেই সকল সবজি খাওয়া প্রয়োজন।

গাজর: গাজরের হালুয়া কিংবা শুধু গাজরে অনেক পরিমান এ পুষ্টি থাকে যেটা আমাদের গর্ভাবস্থায় পুষ্টি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এ রাখতে সাহায্য করে।

শালগম: শালগম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কারণ শালগমে থাকে অনেক পরিমান এ পুষ্টি যেটা গর্ভাবস্থায় আমাদের পুষ্টির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সবজি।

মূলা: গর্ভাবস্থায় হজম এর সমস্যা হয়ে থাকে।আর সেইখান থেকে পুষ্টিহীনতা ও হজমের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মূলা আমাদের একমাত্র সবজী হতে পারে।তাই অবশ্যই গর্ভাবস্থায় প্রয়োজন মত মূলা খাওয়া আমাদের অনিবার্য।

করলা: আমাদের শরীরের রক্তচাপ কমাতে করলার অনেক গুন।যেমন ডায়েবেটিক এ আক্রান্ত মানুষ যদি গর্ভাবতী হয় তাহলে তার জন্য করলা অনেক উপকারী কারণ। ডায়েবেটিক এ আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত মিঠা হয়ে থাকে আর করলা তিতা ফলে গায়ের ব্যাথা,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ,ডায়েবেটিক নিয়ন্ত্রন ইত্যাদি থেকে গর্ভাবস্থায় রক্ষা করে তাই আমাদের করলা খাওয়া প্রয়োজন।

মিষ্টি কুমড়া: গর্ভাবস্থায় মিষ্টি কুমড়া আমাদের জন্য অনেক উপকারী।কারণ মিষ্টি কুমারাতে থাকে প্রচুর পরিমান এ পুষ্টি। তবে যাদের ডায়েবেটিকস আছে তারা অবশ্যই খুবই কম পরিমাণ এ মিষ্টি কুমড়া খাবেন কারণ মিষ্টি ডায়েবেটিকস এর জন্য মোটেও ভালো না ক্ষতি।আর সাধারণ সুসাস্থ্যের মানুষেরা গর্ভাবস্থায় প্রয়োজন মত খাবেন।কারণ প্রতিটি খাবার একজন মানুষের প্রয়োজন মত খাওয়া দরকার।

চিচিংগা: চিচিংগা খেলে গর্ভাবতী মায়ের অনেক উপকার হয় যেমন পুষ্টি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ক্যালসিয়াম,ক্যলোরি ইত্যাদি।

চাল কুমড়া: চাল কুমড়া আমাদের শরীর এর জন্য অনেক উপকারী আর তা ছাড়া এতে থাকে প্রচুর পরিমান এ পানি যেটা আমাদের গর্ভাবস্থায় থাকা মায়েদের জন্য অনেক উপকারী। আর চাল কুমড়া তে অনেক পুষ্টি থাকে যেটা থেকে আমরা ও গর্ভাবস্থায় থাকা মায়েরা পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে।

ঢেড়স: গর্ভাবস্থায় মায়েদের প্রচুর পরিমান এ ক্যালরি ও ক্যালসিয়াম দরকার হয়ে থাকে। ঢেড়স হচ্ছে তার একটি উৎস।ঢেড়স এ থাকে প্রচুর পরিমাণ এ ক্যালসিয়াম যা শারীরিক দূর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।

শেষ কথা: আপনি যদি এই ধরনের আরও নানান রকম তথ্য জানতে চান গর্ভাবস্থায় থাকা মায়েদের নিয়ে এবং তাদের খাদ্য তালিকা ও সঠিক নির্দেশনা নিয়ে তাহলে আমাদের আজকের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন