প্রতিদিন কতটুকু আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত ও আঁশযুক্ত খাবার তালিকা

এই অংশে আপনি জানতে পারবেন আমাদের প্রতিদিন কতটুকু আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সকল প্রকার পুষ্টিযুক্ত খাবার যেমন জরুরী। তেমন পুষ্টিযুক্ত খাবারের পাশাপাশি আজযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের জন্য অনেক জরুরী।
আঁশযুক্ত খাবার তালিকা
এ অংশে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আঁশযুক্ত খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী এবং আমাদের কি কি খাবার আঁশযুক্ত মধ্যে পড়ে। সকল বিস্তারিত সবকিছু। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক আজকের বিষয়বস্তু সবগুলা। আঁশযুক্ত খাবার নিয়ে আপনার মনে যে কোন প্রশ্ন থাকলে আপনি সূচিপত্র থেকে আপনার পছন্দমত অংশ চাপ দিয়ে পড়তে পারেন। কারণ আঁশযুক্ত খাবার নিয়ে আপনাদের মনে যেগুলো প্রশ্ন থাকে সকল বিষয়বস্তু নিয়ে আজকে শেয়ার করব।

আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে

আঁশযুক্ত খাবার হচ্ছে এমন এক ধরনের খাবার যাতে অনেক পরিমান আঁশ থাকে। এবং যা আমাদের হজম হতে সমস্যা করে কিন্তু শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর এবং উপকারী।

আজ যুক্ত খাবার মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ-
দ্রবীভূত আঁশ: দ্রবীভূত আঁশ জাতীয় খাবার আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমাতে পারে। এবং আমাদের রক্তে যে শর্করা থাকে সেটার মাত্রাটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া আমাদের হজমকে করে দেয় ধীরগতিতে।

অদ্রবীভূত আঁশ: অদ্রবীভূত আঁশ আমাদের শরীরের মলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে এটি আমাদের একটি সুবিধা দিয়ে থাকে কারণ আমাদের মলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন

আজ যুক্ত খাবার খাওয়া আমাদের কেন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি আমাদের শরীরে পুষ্টিযুক্ত খাবার অনেক জরুরী। এবং আঁশযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে থাকে পুষ্টির প্রধান উপাদান। যেমন মাছ আমরা জানি মাছের মধ্যেও থাকে পুষ্টি এবং মাছ আঁশযুক্ত হয়ে থাকে।

তাছাড়াও লাল শাক,পালং শাক,শালগম,ফুলকপি,মুসুর ডাল,মুগ ডাল, গমের ভূসি,আখরোট, চিনা বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ এই সব কিছুই আমাদের শরীরের জন্য অনেক পরিমান পুষ্টিযুক্ত খাবার। এবং এইগুলোই হচ্ছে উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার। যা আঁশযুক্ত খাবার গুলোর প্রধান বলা যেতে পারে।

আঁশযুক্ত সবজি কি কি - সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজি

আপনারা অনেকে জানতে চেয়ে থাকেন আঁশযুক্ত সবজি গুলো কি কি। এবং কোন সবজি সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজি। আমরা সবাই জানি আমাদের বেশিরভাগ শরীরের পুষ্টির খাবারই আশযুক্ত খাবার তো এই অংশে আমি সেইসব সবজিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেসব সবজিগুলোর মধ্যে উচ্চ আঁশযুক্ত আছে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ আঁশযুক্ত সবজি।

শসাঃ আমরা জানি শসা আমাদের লিভারের জন্য কতটা উপকারি। এবং শসা ১০০ ভাগের মধ্যে ৯৮ পানি দিয়ে তৈরি। তবে শসাতে প্রতি কাপে 1.5 গ্রাম আঁশও রয়েছে। যা আমাদের শরীরের ভিটামিন এবং ক্যালসিয়ামকে বৃদ্ধি করতে  সহায়তা করে।

ব্রকলিঃ ব্রুগুলি একটি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন জাতীয় সবজি আমরা অনেকে জেনে থাকি। যা আমাদের শরীরের পুষ্টি যোগায়।ব্রকলি প্রতি কাপে পাঁচ গ্রাম আসা সরবরাহ করে।

গাজরঃ গাজর আমাদের শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিকর খাবার। এবং গাজরের রয়েছে ভিটামিন এ। গাজরের প্রতি কাপে 3.6 গ্রাম আঁশ থাকে।

শালগমঃ দৈনন্দিন জীবনে বলতে গেলে শালগম আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় সবজি। এবং সালগামী রয়েছে বিশাল পুষ্টি। তাছাড়াও শালগমে  3.6 গ্রাম আঁশ থাকে প্রতি কাপে।

ফুলকপিঃ শীতকালীন প্রধান তরকারি বলতে গেলে ফুলকপির কোন বিকল্প নেই। ফুলকপি আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় একটি সবজি যা আমরা প্রায় সবাই খেয়ে থাকি। ফুলকপি ধরেছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি। এবং ৫ গ্রাম আঁশ থাকে ফুলকপিতে প্রতি কাপে।

পালং শাক ও লাউ শাকঃ এ দুটোতেও আমাদের পুষ্টি সহকারে প্রতি কাপে আঁশ এর মাত্রা তিনকাপের কাছাকাছি থাকে।

উপরের এই সবগুলো মূলত সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজি। যা আমাদের শরীরের পুষ্টি যোগানোর পাশাপাশি সর্বোচ্চ আঁশ প্রতি কাপে নির্বাহ করে।

আঁশযুক্ত খাবার তালিকা

এই অংশে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আজ যুক্ত খাবারের তালিকা। আপনারা কতটুকু পরিমাণ খাবার খাবেন প্রতিদিন আঁশযুক্ত সে বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করুন তো নিচে বিস্তারিত করে দেয়া হলোঃ

ফলঃ আপেল,কমলা,স্ট্রবেরি,ব্লুবেরি,নাশপাতি,কলা
সবজিঃ শসা,ফুলকপি,গাজর,শালগম,পালং শাক ও লাউ শাক।
ডালঃ মসুর ডাল,ছোলা,মটরশুটি,বুটের ডাল ইত্যাদি।
বাদাম ও বীজঃ বাদাম,আখরোট,চিনা বাদাম,তিষী, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি।

এই সবগুলোই মূলত আঁশযুক্ত খাবারের তালিকা। নিচে আরও কিছু মাছের নাম দেয়া হবে আঁশযুক্ত সেগুলো চাইলে দেখে নিতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটিকে পড়েন তাহলে আঁশযুক্ত খাবার নিয়ে আপনার কোন প্রশ্ন আর মনের ভেতরে থাকবেনা।

আঁশযুক্ত মাছ কি কি

এই অংশে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আঁশযুক্ত মাছ কি কি। নিচে আঁশযুক্ত মাছগুলোর মধ্যে কয়েকটি আপনার সাথে শেয়ার করা হলোঃ

আঁশযুক্ত মাছ ঃটুনা,হালিবট,ম্যাক্যারেল,স্যামন ইত্যাদি এই ধরনের সব মাছগুলো আঁশযুক্ত মাছ।

আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার উপকারিতা

আজকের আর্টিকেলটা যদি আপনারা ভালো করে পড়েন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন যে আমাদের খাদ্যের মূল প্রধান খাবার গুলোই আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে পড়ে। যা খেয়ে আমরা দৈনন্দিন জীবনযাপন করি। এবং সেগুলো খাবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং সে খাবারগুলো সর্বোচ্চ আঁশযুক্ত খাবার দিয়ে গঠিত।

অবশ্যই আমাদের খাবারগুলো পরিমাণমতো খেতে হবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ৩০ থেকে ৩২ গ্রামের বেশি খেলে শরীরের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর আমরা জানি কোন কিছুই বেশি খাওয়া ঠিক না পরিমাণ মতন খাওয়া জরুরী। তাছাড়া যদি আপনি বলতে চান আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা তাহলে আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতার বিকল্প নেই। কারণ প্রধান প্রধান খাবার গুলো আঁশযুক্ত খাবার নিয়েই গঠিত যা খেয়ে আমরা দৈনন্দিন জীবনযাপন করি।

দিনে কত গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে

আপনারা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন দিনে কত গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী এবং দিনে কত গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। দিনে কত গ্রাম আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার বয়সের উপর।

তাছাড়া আপনি যদি বেশি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার কোন সাইড ইফেক্ট কিংবা শরীরে কোন শারীরিক প্রবলেম হতে পারে। তাছাড়া একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে ৩০ থেকে ৩২ গ্রামের বেশি আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়।

শেষ কথাঃ প্রিয় পাঠক আপনি যদি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিকে ভালো করে পড়েন তাহলে আপনি জেনে নিতে পারবেন প্রতিদিন কতটুকু আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত ও আঁশযুক্ত খাবার তালিকা সহ সকল বিষয়বস্তুগুলো। আশা করি আপনি আজকের এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হয়েছেন।

এই ধরনের যদি আরো আর্টিকেল চেয়ে থাকেন তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটটিকে রেগুলার ফলো করতে পারেন।আমরা এখানে রেগুলার আর্টিকেল পাবলিশ করে আপনাদের সহযোগিতা করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন