৩৬৫ দিনের তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচি ২০২৪
আপনি কি তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ম জানতে চাচ্ছেন কিংবা তাহাজ্জুদ নামাজ
সম্পর্কে সকল বিষয়বস্তুগুলো জানতে চাচ্ছেন ২০২৪ এর তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি
আপনার জন্য। আজকে এই আর্টিকেলের মধ্যে আপনাদের তাহাজ্জুতের নামাজের যতগুলো প্রশ্ন
থাকে এবং যতগুলো জানার বিষয় থাকে সবগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
তাছাড়াও আজকের আর্টিকেলের নিচের দিকে তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে আপনাদের সাধারণ
কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করব। নিচে আপনাদের সাথে তাহাজ্জুদ
নামাজের সময়সূচী এবং তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা সহ ২০২৪ সালের নতুন পোস্টে খুব
সুন্দরভাবে সকল বিষয়বস্তুগুলো অনেক ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে তো দেরি না করে
দেখে নিন।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা ও গুরুত্ব
আপনারা অনেকেই জানতে চান তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব
এবং উপকারিতা সম্পর্কে এই অংশে আমি আপনাদের সাথে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও
ফজিলত আপনার সাথে শেয়ার করব চলুন দেখে নেয়া যাক।
একজন মুত্তাকীর জন্য তাহাজ্জুতের নামাজ অবশ্যক বিষয়। এবং আপনি যদি একজন নেক্কার
বান্দা আল্লাহর অলি একজন ভালো মানুষ হতে হলে তাহাজ্জুদ নামাজের কোন বিকল্প নাই।
যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সাথে তার গভীর
সম্পর্ক তৈরি হয়। এই সময় আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের অনেক নিকটস্থমী হয়ে যায়।
এবং তাহাজ্জুতের নামাজ যদি আপনি পড়েন তাহলে আপনার মনের মধ্যে একটা আনন্দ সৃষ্টি
হবে এবং সারাদিন আপনার মন খুশিতে কাটবে যেটা অন্য কোন ইবাদতের মাধ্যমে হবে না।
এবং আপনি যদি জীবনে সুখী হতে চান সুখী হওয়ার সবথেকে উত্তম পন্থা হচ্ছে
তাহাজ্জুদের নামাজ। এবং আল্লাহ বান্দাদের বলেছেন তোমার যদি খুব বেশি চাওয়া
পাওয়া থাকে এবং তোমার যদি কোন স্বপ্ন থাকে তাহলে সে বান্দা যদি তাহাজ্জুদ
নামাজের সময় আল্লাহকে ডাকে আল্লাহ সে বান্দার দিকে মুখ ফিরে তাকাবেন। এবং আল্লাহ
তা'আলা নিজে তাহাজ্জুদের নামাজে বান্দাদের কাছে এসে আহ্বান জানান যে তোমাদের কিছু
চাওয়া পাওয়া থাকলে তোমরা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ো।তাহলে আপনারা বুঝুন
তাহাজ্জুদের নামাজ একজন বান্দার জন্য কত পরিমাণ ফজিলত।
আরো পড়ুনঃ জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া
এই অংশে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া। তো তাহলে চলুন
দেখে নেয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
গভীর রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে উঠেন এবং তিনি কোরআনের আয়াত
তেলাওয়াত করেন এবং তার সাথে সাথে আল ইমরানের শেষ পর্যন্ত পড়তেন। -
(বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
আরবি উচ্চারণ
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا
عَذَ ابَ النَّارِ – رَبَّنَا إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ
أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ – رَّبَّنَا
إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِ يًا يُنَادِي لِلإِيمَانِ أَنْ آمِنُواْ
بِرَبِّكُمْ فَآ مَنَّا رَبَّ نَا فَا غْفِرْ لَنَا
ذُنُو بَنَا وَكَفِّرْ عَنَّ ا سَيِّئَا تِ نَا
وَتَوَفَّنَا مَعَ الأبْرَ ارِ
রাব্বানা মা খালা ক্বতা হাজা বাত্বি লান, সুবহা নাকা ফাক্বিনা ‘আজা বান্নার।
রাব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন্নারা ফাক্বাদ্ আখ ঝাইতাহু, ওয়া মা লিজ জ্বালিমিনা
মিন্ আংছার। রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদি আই ইউ নাদি লিল ইমানি আন আমিনু
বিরাব্বি কুম ফা আমান্না; রাব্বানা ফাগ ফিরলানা জুনুবানা ওয়া কাফ্ফির আন্না
সাইয়্যে আতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফা না মাআ’ল আবরার।’
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তাহাজ্জুদের নামাজের উদ্দেশ্য যখন দাঁড়তেন তখন যে দোয়া পড়তেন তা নিচে দেয়া হলঃ
আরবি উচ্চারণ
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ
فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ، لَكَ مُلْكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ
فِيهِنَّ،
وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ، وَلَكَ الْحَمْدُ
أَنْتَ الْحَقُّ، وَوَعْدُكَ الْحَقُّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ،
وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ،
وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ
حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ، وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ،
وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي
مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ
الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ لاَ
إِلَهَ غَيْرُكَ
বাংলা বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না
ওয়া লাকালহামদু। লাকা মুলকুস সামাওয়অতি ওয়াল আরদি ওয়া মান ফিহিন্না। ওয়া লাকাল
হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু। ওয়া
ওয়া’দুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল ঝান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নারু
হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু। ওয়া মুহাম্মাদুন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামা হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু। ওয়াবিকা আমাংতু
ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা আনাবতু। ওয়া বিকা খাসামতু। ওয়া ইলাইকা
হাকামতু। ফাগফিরলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখ্খারতু। ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা
আ’লাংতু। আংতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা। লা ইলাহা
গাইরুকা।’ (বুখারি)
আরো পড়ুনঃ শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের নাম তালিকা সহ ৪১ টি
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচি ২০২৪
আপনারা অনেকেই তাহাজ্জুদ নামাজের সময় সূচি ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চান। এই অংশে
আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাহাজ্জুদ নামাজের সময়সূচি ২০২৪ সঠিকটা তাহলে
জেনে নিন নিচে দেয়া হলোঃ
তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম অর্থাৎ রাত দুইটা
থেকে শুরু করে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজের সময় থাকে। তবে
আপনার যদি ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আপনি এশার নামাজের পর দুই
রাকাত সুন্নত ও বিতরের নামাজের আগে তা পরে নেয়া জায়েজ রয়েছে। তবে আপনি
যদি সর্বোত্তম ভাবে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে চান তাহলে শেষ রাতে
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা আপনার জন্য সর্বোত্তম হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন তাহাজ্জুদ নামাজের সূরা সম্পর্কে এবং অনেকে
দ্বিধা দন্ডে থাকেন যে তাহাজ্জুদ নামাজ সূরা আসলে কোনটা। আসলে কোথায় এমন ভাবে
বলা নেই যে তাহাজ্জুদ নামাজের নির্দিষ্ট কোন সূরা আছে। আপনি যে কোন সূরা দিয়ে
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যায়। যেহেতু তাহাজ্জুদের নামাজ হচ্ছে একটি নফল
নামাজ সেহেতু আপনারা যে কোন সূরা দিয়েই তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় ও নিয়ম
এই অংশে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব তাহাজ্জুদ নামাজের সময় ও নিয়ম। আপনারা
অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন তাহাজ্জুদ নামাজের সময় ও নিয়ম।চলুন দেখা যাক নিচে
দেওয়া হলঃ
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়ঃ তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম অর্থাৎ রাত দুইটা থেকে শুরু
করে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজের সময় থাকে।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়মঃ তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ম হচ্ছে দুই রাকাত করে আপনি যত রাকাত পর্যন্ত পড়তে
পারবেন। তবে সর্বনিম্ন আপনাকে দুই রাকাত পড়তেই হবে। এবং অনেকে বলে থাকেন যে
সর্বোচ্চ ১২ রাকাত এর বেশি পাওয়া যায় না। আবার বেশিভাগ অনেকের মতে যত ইচ্ছা
তত রাকাত পড়া যাবে কোন সমস্যা নাই।
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত
আপনারা অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত জানতে চেয়েছেন।এই অংশে আমি আপনার সাথে শেয়ার করব তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত। তো নিচে দেয়া হলো দেখুনঃ
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়তঃ দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি
;অতঃপর আল্লাহ আকবার বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়ুন।
আপনি উপরে এই নিয়ম অনুকরণ করে তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ত করতে পারেন বাংলাতে।
এটি হচ্ছে তাহাজ্জুদের নামাজের বাংলা নিয়ত। আশা করি আপনারা এটি পেয়ে উপকৃত
হয়েছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের সম্পর্কে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর:-
প্রশ্নঃ গভীর রাতে কি নামাজ পড়ে?
উত্তরঃ হ্যাঁ গভীর রাতে
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া হয়।
প্রশ্নঃ রাত ১ টায় তাহাজ্জুদ পড়া যাবে কি?
উত্তরঃ না কারণ তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম অর্থাৎ রাত দুইটা থেকে শুরু করে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজের সময় থাকে।
প্রশ্নঃ ফজরের নামাজের পর তাহাজ্জুদ পড়া যাবে কি?
উত্তরঃ ফজরের নামাজের পর
তাহাজ্জুতের নামাজ পড়া যাবে না।রাতের শেষ তৃতীয়াংশে অর্থাৎ রাত দুইটা থেকে শুরু
করে ফজরের আযানের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজের সময় থাকে এর মধ্যে আপনাকে
নামায আদায় করতে হবে।
প্রশ্নঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত কত রাকাত?
উত্তরঃ দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি ;অতঃপর আল্লাহ আকবার বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়ুন।তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ম হচ্ছে দুই রাকাত করে আপনি যত রাকাত পর্যন্ত পড়তে
পারবেন।তবে সর্বনিম্ন আপনাকে দুই রাকাত পড়তেই হবে।এবং অনেকে বলে থাকেন যে
সর্বোচ্চ ১২ রাকাত এর বেশি পাওয়া যায় না। আবার বেশিভাগ অনেকের মতে যত ইচ্ছা
তত রাকাত পড়া যাবে কোন সমস্যা নাই।
শেষ কথাঃ
আপনি যদি ইসলামিক যে কোন পোস্ট সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইটের
ইসলামিক ক্যাটাগরিটি রেগুলার ভিজিট করতে পারেন। এবং আপনি যদি এই ধরনের তথ্য আরো
জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্টে জানান। তাছাড়া যদি কোন ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে তাহলে সেটা ক্ষমার চোখে দেখবেন তাছাড়া আমাদেরকে কমেন্ট
বক্সে জানাতে পারেন। এবং আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন। নতুন নতুন ইসলামিক
পোস্ট পড়তে আকুয়া বিডি ফলো
করুন ধন্যবাদ।