পেটের মেদ কমানোর ৩টি সহজ উপায় - ৭ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আজ আমি আপনাকে জানাবো তিনটি সহজ পদ্ধতিতে খুব সহজেই কিভাবে আপনি পেটের মেদ কমাবেন। কি? বিশ্বাস হচ্ছে না তো? আপনি ভাবতেই পারেন আদৌ কি মাত্র তিন উপায়ে পেটের মেদ কমানো সম্ভব? কিভাবে?
উত্তর হলো, হ্যাঁ সম্ভব তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রে প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল নিয়ম মাফিক খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়ন্ত্রণ । অর্থাৎ যতটা সফলভাবে এবং সঠিক নিয়মে আপনি খাদ্য গ্রহণ করবেন ঠিক ততটাই আপনার পেটের মেদ কমার সম্ভাবনা বেড়ে হবে।
এছাড়াও শারীরিক কসরত এবং সঠিক নিয়মে জীবন যাপন করা আপনার পেটের মেদ কমাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে আপনি কিভাবে খাদ্য গ্রহণ করবেন, কি নিয়মে ব্যায়াম করবেন, এবং ঠিক কিভাবে জীবনকে অতিবাহিত করলে আপনার পেটের মেদ কমবে চলুন দেরি না করে এখনই দেখে নিন আজকের এই ব্লগে।
পেটের মেদ কমানোর উপায় - ৩ দিনে পেটের মেদ কমানোর উপায়
আপনি আপনার পেটের মধ্যে এক চুটকিতে কমিয়ে ফেলতে পারেন যদি আপনি নিম্নে দেখানো মাত্র তিনটি উপায় সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন। আর সেই তিনটে উপায় কি? আসুন দেখে নেই
- ১. সঠিকভাবে ডায়েট চার্ট মেনে চলা
- ২. প্রতিদিন ব্যায়াম, দৌড়োদৌড়ি, অথবা বিভিন্ন রকম শারীরিক কসরত এর মাধ্যমে শরীরকে ব্যস্ত রাখা।
- ৩. সবশেষে সুস্থ স্বাভাবিক উপায়ের জীবন অতিবাহিত করা।
আপনি যদি মাত্র এই তিনটি উপায় একটু যত্ন সহকারে পালন করেন তাহলে আপনার পেটের মেদ যে কখনো ছিল তা আশাকরি ভুলেই যাবেন।
আর হ্যাঁ উভয়, পুরুষ অথবা মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায় হিসেবে এই তিনটি পদ্ধতিই যথেষ্ট। সুতরাং, আর দেরি না করে পদ্ধতি গুলোর বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া যাক:
আরো পড়ুনঃ চুল কাটার স্টাইল ২০২৪
স্ট্রিক্টলি ডায়েট কন্ট্রোল করা মানে আপনি আপনার পেটের মেদ কমানোর যাত্রার সফলতার দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেছেন। তবে হ্যাঁ, আপনি যদি খুব দ্রুত আপনার পেটের মেদ কমাতে চান চান তবে অবশ্যই আপনাকে কার্বোহাইড্র জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করতে হবে।
তার বদলে আপনাকে ফাইবার যুক্ত বা প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। আর এই সকালে বিষয় নিয়েই নিম্নে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আসুন তবে একবার চোখ বুলিয়ে নেই।
সুষম খাদ্যের প্লেট তৈরি করুন:
সুষম খাদ্যের প্রথমে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি আপনার খাবারের প্লেটটি তুলনামূলকভাবে ছোট রাখছেন এবং তাতে সুষম খাদ্য রাখছেন।
ধরুন আপনি আপনার প্লেট কে চারটি ভাগে বিভক্ত করলেন, যার এক ভাগে রাখলেন সামান্য পরিমাণ ঢেঁকি ছাটা লাল চালের ভাত, বা লাল গমের আটার রুটি (১টি), একাংশে ফাইবার হিসেবে রান্না করা শাকসবজি, আরেক অংশে সালাদ, এবং শেষ অংশে প্রোটিন হিসেবে মাছ বা মাংস রাখলেন। তবেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার সুষম খাদ্যের একটি প্লেট।
এই সুষম খাদ্যের থালাটি আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টির যোগান দিবে এবং শরীরকে দুর্বল হতে দিবে না পাশাপাশি আপনার পেটে মেদে জমা হতে দিবে না।
আরো জেনে নিন ওজন কমানোর উপায়
ক্যালোরি গ্রহণ হ্রাস করুন:
আপনার পেটের মেদের অবস্থার পরিবর্তন যদি আপনি খুব দ্রুত দেখতে চান, এই ধরুন খনেকের মধ্যে একটি ভালো ফলাফল পেতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে ক্যালোরি গ্রহণ কমিয়ে ফেলতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ ক্যালোরি করে মেপে সেই মোতাবিক খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন।
প্রক্রিয়াজাত খাদ্য হতে দূরে থাকুন:
আপনাকে যতটা সম্ভব প্রক্রিয়াজাত খাদ্য থেকে দূরে থাকতে হবে। আমরা সবাই জানি যে সেগুলো কতটা সুস্বাদু এবং মুখরোচক তবুও দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে পেটের মেদ কমাতে হলে আপনাকে একটু লাগাম টানতেই হবে। কারণ মূলত প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পুষ্টিতে কম এবং বেশি ক্যালোরি হয়ে থাকে।
যেমন ধরুন চিপস, বিস্কুট, বা বিভিন্ন প্রকার ভাজাপোড়া জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকেও নিজেকে বিরত রেখে যদি সেই জায়গায় আপনি শসা, কলা, আপেল বা খেজুর এইধরনের ব অনান্য ফলমূল খেলেন সে ক্ষেত্রে যেমন আপনার শরীরের উপকার হলো এবং সেই অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলো থেকে অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট আপনার শরীরেও ঢুকতে পারল না।
চিনি যুক্ত পানীয় থেকে নিজেকে বিরত রাখুন:
আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনি চিনি যুক্ত কার্বনেটেড বেভারেজ থেকে নিজেকে একেবারেই বিরত রাখছেন। আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। সেটি হলো যতই আপনি দেখুন না কেন যে সফট ড্রিংকস গুলো আপনি পান করছেন তাদের মোড়কে জিরো সুগার ব্র্যান্ডিং করা আছে তবুও তাতেও অনেকাংশে সম্ভাবনা থাকে আপনার ওজন বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি আপনার পেটের মেদ বাড়ানোর।
আমি জানি একদিনে চিনি জাতীয় পানীয় বা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা সম্ভব হবে না। তবুও নিজের মধ্যে বিশ্বাস রাখুন এবং চেষ্টা চালিয়ে যা। আমি জানি আপনি পারবে। একবার অভ্যস্ত হয়ে পড়লে দেখবেন যে এমন এক সময় আসবে যখন আপনার চিনিজাতীয় কোন কিছু খেতে বিরক্ত লাগছে।
এক্ষেত্রে আপনার আস্তে আস্তে চিনি ছাড়া চা, কফি, লেবু পানি, অলিভ অয়েলের মত অসম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় পানি আপনাকে গ্রহন করতে পারেন। যা আপনার শুধু পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে না আপনাকে অনেক সুস্থ রাখবে এবং ডায়বেটিস হওয়ার এর ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।
খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান:
আপনাকে খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কারণ প্রোটিন মূলত হজম হতে তুলনামূলক বেশি সময় নেয় যা আপনার পেটকে পূর্ণ বোধ করাতে সাহায্য করে। অনেকে ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে খাবারের তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়ার পরে অনেকেই অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন।
প্রতিদিন প্রতি কিলোগ্রাম শরীরের ওজনের জন্য ০.৪-১ গ্রাম প্রোটিনজাতীয় খাবার আপনি গ্রহণ করতে পারেন।
এখন বিষয় হলো যে আমাদের সবার পক্ষে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাবার সুযোগ হয়ে ওঠেনা। সে ক্ষেত্রে আপনি বাজার থেকে কম মূল্যে সয়া বড়ি বা সয়া চাংক্স কিনে এনে সেদ্ধ করে মাংসের মতো রান্না করে খেতে পারেন যা অল্প গ্রহণেই আপনার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন:
ফাইবার মূলত আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি থেকেই পেয়ে যাবেন যেমন ডাল, ফলমূল শাক-সবজি, ওটস ও বার্লি মটরশুটি সিম ও বিন জাতীয় খাবার থেকে খুব সহজেই ফাইবার পাওয়া সম্ভব।
এছাড়াও হোল গ্রেইন খাবার, লালা আটা, বাদাম, খোসা ও ব্রিটিশহ ফল সবজি আপনি খেয়ে আপনার শরীরের ফাইবারে চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
ফাইবার মূলত আপনার পেটকে ভর্তি বোধ করায়। এতে করে আপনার অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা জাগ্রত হয় না এবং ক্যালরি শোষণ কমিয়ে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
পেটের মেদ কমানোর উপায় এর ডায়েট অনুসরণের পরের শর্ত হলো প্রতিনিয়ত শরীর চর্চা করা। কিন্তু কিভাবে নিয়মিত শরীরচর্চা বা ক্রিয়াকলাপে আপনি নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারবেন এবং ঠিক কোন ব্যায়াম গুলো অনুসরণ করলে আপনি একটি দ্রুত ফলাফল পাবেন? জেনে নিন এখানে:
প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিটের মডারেট-তীব্র বা ৭৫ মিনিটের ইনটেন্স-হাই ইন্টেন্স ব্যায়াম করার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। তন্মধ্যে দ্রুত হাটা, মাঝারি গতিতে দৌড়ানো, সাঁতার কাট, সাইকেলিং করা কিংবা নাচের মত মজাদার শরীর চর্চা আপনি করতে পারেন।
হাই ইন্টেন্সিটি ইন্টারভেল ট্রেনিং পদ্ধতি অনুসরণ করুন:
হাই ইন্টেন্সিটি ইন্টারভেল ট্রেনিং অর্থাৎ আপনি যে ব্যায়ামগুলো সচরাচর করবেন সেগুলোর মধ্যে খুব কম সময় আপনি বিশ্রাম নেবেন এবং তার পরক্ষণেই আবার জোরালো ভাবে ব্যায়াম শুরু করবেন। এর দ্বারা খুব সহজেই আপনি আপনার পেটের মেদ খুব কম সময়ে কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
বাসা বাড়িতে করার উপযোগী পেটের মেদ কমানোর কার্যকরী কিছু ব্যায়াম সমুহ :
- ১. ৬০-সেকেন্ডের প্লানক্স
- ২. বাইসাইকেল ক্রাঞ্চেস
- ৩. আ্যবডমিনাল ক্রাঞ্চেস
- ৪. লেগ লিফটিং
শুধু নিয়মিত শরীরচর্চায় আপনার পেটের মেদ পরীক্ষা কমাতে সক্ষম না যদি না আপনি সঠিক নিয়মমাফিক আপনার জীবন যাপন করেন। আপনাকে সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে, এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর এই সব কিছুর মেলবন্ধন এই আপনি আপনার স্বপ্নের দুর্গারায় পৌঁছে যেতে পারবেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান:
আপনাকে অন্তত প্রতিরাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। কারণ আপনার শরীর যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম থেকে বঞ্চিত হয় তখন স্ট্রেস হরমোন তৈরি করে যা আপনার পেটের চর্বি বৃদ্ধিত করতে পারে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন:
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস আপনার শুধু পেটের চর্বিকেই বৃদ্ধি করে না আপনার ওজনের বৃদ্ধি ঘটায়। সুতরাং মনকে প্রফুল্ল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সেই ক্ষেত্রে আপনি সপ্তাহান্তে কোথাও ঘুরাঘুরি করতে পারেন বই পড়তে পারেন, পছন্দের মুভি দেখতে পারেন, অথবা পছন্দের মানুষের সাথে সময়টা কাটিয়ে এ ব্যস্তময় জীবন থেকে একটু নিজেকে আলাদা করে মনে শান্তির ঠাই করে দিতে পারেন।
আপনি যোগব্যায়াম, ধ্যান অথবা গভীর শ্বাস নেওয়ার মস্তিষ্ক শিথিলকরন কৌশল গুলি অনুসরণ করতে পারেন।
আর যদি স্ট্রেস জাতীয় সমস্যা আপনাকে বেশি তারা করে থাকে তবে দেরি না করে দ্রুত একজন ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা আপনার বাঞ্ছনীয়।
আরো পড়ুনঃ এক ফোটা বীর্য তৈরি হতে কত সময় লাগে
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন:
পেটের মেদ ভুড়ি কমানোর উপায় এর মধ্যে আরেকটি অন্যতম কাজ হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা বা হাইড্রেট থাকা। সুতরাং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
একবারে বেশি পরিমাণ পানি পান করতে না পারলে বারে বারে একটু একটু করে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা এবং সময় সূচি - ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়
আমারও পেটে ভালই মেদ ছিলো। যে কোন প্রকার জামা কাপড় পরলে দেখতে খুবই বাজে লাগত। মনে হয় তো আমি হাঁটার আগে আমার পেটটা যেন হাটছে।
আর সেই বিরক্তবোধ থেকে আমি ২ বছর আগে আমি জিম করা শুরু করি। এবং তখন আমার ট্রেইনার আর আমাকে নিম্নলিখিত ডায়েট চার্ট টি দিয়েছিলেন।
আর সেই পেটের মেদ কমানোর খাদ্য তালিকা টি অনুসরন করে ঠিক তিন মাসের মাথায় অনেকাংশেই কমে গিয়েছিলো । আমার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয় নিম্নের এই ডায়েট চার্ট টিআপনার পেটের মেদ কমানোর ক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে। আসুন এক ঝলকে ডায়েট চার্ট টি দেখে নেই:
পেটে মেদ জমার কারন কি?
এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পেছনে আপনার মূল লক্ষ্য ছিল পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানার। আশাকরি আপনি আপনার উত্তর ও পেয়েছেন ইতিমধ্যে।
তবে আপনি যদি জেনে নেন ঠিক কি কি কারণে আমাদের পেটে মেদ জমে। তাহলে আপনি খুব সহজে সে বিষয়গুলো পরিহার করে আপনার পেটের সেই সকল অস্বস্তিকর মেদগুলো খুব সহজেই ঝরিয়ে নিতে পারবেন। আর কি সেই সকল কারণ? চলুন জেনে নেওয়া যাক:
আরো পড়ুনঃ সাজনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার ওজন এবং উচ্চতা অনুযায়ী ঠিক কতটুকু খাদ্য আপনার প্রয়োজন। কারণ আমাদের শরীর যখনই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি পেয়ে যায় তখনই মেদ জমাতে শুরু করে।
এছাড়াও অল্প শাকসবজি ও ফল অর্থাৎ ফাইবার যুক্ত খাবার যেগুলো মূলত কম ক্যালরিযুক্ত হয় এবং পেটকে অল্পতেই ভরিয়ে রাখে, সেগুলো গ্রহণ না করাও পেটের মেদ জমানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অন্যতম আরেকটি কারণ হলো মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য বেশি খাওয়া। যেমন ধরুন, সফটড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস, মিষ্ট, প্রক্রিয়াজাত জুস, এক কথায় যে সকল খাদ্যে বা পানি জাতীয় দ্রব্যে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে তা অধিকগ্রহণে আপনার শরীরে মেদ জমাবেই।
এমনকি সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ না করলেও দেখা গিয়েছে যে শুধুমাত্র পেটের মেদ নয় বরং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আপনার মেদ জমতে শুরু করে।
শুধুমাত্র বদ খাদ্যাভ্যাসই নয় আপনার শরীরকে যত কম কাজ করতে দেবেন সে ততো মেদ জামাতে থাকবে, কারণ আপনি যে পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করবেন, কাজকর্ম বা ব্যায়াম না করার ফলে আপনার ক্যালরি বার্ন হবে না। যার ফলাফল শরীরে সফলভাবে মেদ জমানো।
এই বিষয়টি সব থেকে বেশি পরিলক্ষিত হয় আপনারা যারা অফিসে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে থাকেন। কারণ অফিসে যদি ডেস্ক জব হয় তবে সাধারনত খুব কম সময় আপানাদের হাটাহাটি করার সুযোগ হয়ে ওঠে। এবং অতিরিক্ত কাজের চাপ এর ফলে যখন দুশ্চিন্তা বেড়ে দাঁড়ায় , তা মূলত অপ্রয়োজনে ক্ষুধা সৃষ্টি করে যা আমাদের বেশি পরিমাণ খাদ্য গ্রহণে বাধ্য করে। যা আমাদের পেটে মেদ জমায়।
প্রথমেই বলে নিতে চাই, আমাদের মধ্যে কিছু কিছু মানুষের জিনগত প্রভাবের কারণে শরীরে মেদ জমে। জ্বি আপনি ঠিকই শুনেছেন। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে স্থূলতার শতাংশ ৬% থেকে ৮৫% পর্যন্ত মানুষ তাদের জীনগত বৈশিষ্ট্যের কারনে স্থূলতায় ভুগতে পারে।
আপনার ঘুম যদি তুলনামূলক কম হয়, বা আপনার জেগে থাকার অভ্যাস থেকে থাকে তবে তা আপনার ওজন বাড়ার একটি কারণ হতে পারে। কেন? কারণ অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরের ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণ এবং বিপাকের সাথে সরাসরি জড়িত।
অপর্যাপ্ত ঘুম আমাদের বেশ কয়েকটি হরমোনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে যা আমাদের শরীরের মেদ জমাতে সাহায্য করে। তন্মধ্যে একটি হলো ‘ঘ্রেলিন’’ যা আমাদের ক্ষুধাকে বাড়ায় এবং খাদ্য গ্রহণের উৎসাহিত করে।
এছাড়াও আবারো বলতে চাই মানসিক চাপ, সামাজিক বা পরিবারের খাদ্যাভ্যাস, খাবারের প্রাপ্যতা, অতিরিক্ত পরিমাণে স্ন্যাকস, রিচ ফুড বা জাঙ্ক ফুড খাওয়া, ব্যায়াম না করা সবকিছুই মূলত আপনার পেটে মেদ জমাতে পারে।
আরো পড়ুনঃ যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা
পরিশেষে, পেটের মেদ কমানোর অনেক উপায় রয়েছে। তবে তার মধ্য থেকে এই ব্লগ পোস্টে আপনি তিনটি সবথেকে কার্যকরী উপায় সম্বন্ধে অবগত হলেন। তবে যাবার আগে চলুন আরেকবার দেখে নেই কিভাবে মাত্র তিন উপায়ে আপনি আপনার পেটের মেদ খুব সহজেই কমিয়ে ফেলতে পারবেন।
প্রথমত আপনাকে সঠিকভাবে ডায়েট অনুসরণ করে চলতে হবে। সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন শরীর থেকে ঘাম ঝরানোর জন্য অর্থাৎ ক্যালরি বার্ন করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন রকম শারীরিক কসরত করতে হবে। এবং অবশ্যই আপনাকে একটি সুস্থ জীবন ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
আর এই সকল বিষয়গুলি যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে মানিয়ে নিতে পারেন তবে পেটের মেদ কমানো খুব বেশি বড় কষ্ট কর কিছু হয়ে দাঁড়াবে না। তাহলে আর কথা না বাড়াই। শুরু করে দেয়া যাক পেট এর মেদ কমানোর নতুন একটি অধ্যায়।
FAQsমহিলাদের পেটের মেদ কমানোর জন্য কি খেতে হবে?
উত্তরঃ মেয়েদের পেটের মেদ কমানোর জন্য তারা নিয়মিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিমিত পর্যায়ে খাবে যা প্রয়োজনীয় শক্তি এবং পুষ্টি দেবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবে। যথেষ্ট পরিমাণ এক্সারসাইজ করবে যেন তারা যে পরিমানে ক্যালোরি গ্রহণ করেছে তা খুব সহজেই হ্রাস করতে পারে। এবং অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার কম গ্রহণ করতে হবে।
উত্তরঃ পেটে চর্বি কমানোর সবথেকে জনপ্রিয় ওষুধের নাম হল জিরোফ্যাট ১২০ মিগ্রা।
গর্ভাবস্থা-পরবর্তী পেটের মেদ কমাতে করণীয় কি?
উত্তরঃ গর্ভ অবস্থা-পরবর্তী পেটের মেদ কমাতে হলে গর্ভাবস্থায় প্রথম সপ্তাহ থেকে পরবর্তী দিনগুলোতে মা এবং শিশুর জন্য সুস্থ অভিকল্পিত পরিকল্পনা নিতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে শরণাপন্ন হওয়া সব থেকে উত্তম উপায় হবে।
শেষ কথাঃ আপনি যদি এই ধরনের আরও কনটেন্ট চেয়ে থাকেন। এবং পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে আরও বিস্তারিত করতে চান। তাহলে আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইট আকুয়া বিডি ফলো করতে পারেন।